Modi: ‘২০২৪ এ আরও বড় জয় পেতে চলেছে বিজেপি’, মথুরাপুরে আত্মবিশ্বাসী মোদী
Modi: '২০২৪ এ আরও বড় জয় পেতে চলেছে বিজেপি', মথুরাপুরে আত্মবিশ্বাসী মোদী - Bengali News |
লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোটের আগে রাজ্যে পর পর দু’দিন ঠাসা কর্মসূচি ছিলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi)। মথুরাপুরে সভা ছিলো মোদীর। তারপর সেখান থেকে তিনি যান কাকদ্বীপে। শেষ দফা ভোটের প্রচারে মোদী নিজের কেন্দ্রে সময় না দিয়ে এসেছেন বাংলায়। মথুরাপুরে অশোক পুরকাইত, জয়নগরে অশোক কান্ডারী এবং ডায়মন্ড হারবারে অভিজিৎ দাসকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁদের সমর্থনে কাকদ্বীপে সভা করছেন মোদী। এর আগে প্রধনমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পা রেখেছিলেন এই কাকদ্বীপ এর মটিতে। মোদী কী কী বললেন, দেখে নিন এক নজরে…
৪ জুনের পর আগামী ৬ মাসে গোটা দেশে রাজনৈতিক ভূমিকম্প হতে চলেছে
অনুপ্রবেশকারীরা আপনাদের জমি জায়গা দখল করে নিয়েছে। তৃণমূল CAA নিয়ে মিথ্যা,ভুল রটাচ্ছে মানুষের মধ্যে, কারণ তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা দিতে চায়। তৃণমূল হিন্দু, মতুয়া সমাজের লোকেদের এখানে রাখতে দিতে চায় না। কিন্তু চিন্তা করবেন না। ৪ জুনের পর তৃণমূলের হাওয়া বেরিয়ে যাবে। সমস্ত মতুয়া সমাজ, নমশূদ্র সমাজকে অধিকার পাইয়েই ছাড়ব, এটা মোদীর গ্যারান্টি। ভারতের সব শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব মিলবে। ৪ জুনের পর আগামী ৬ মাসে দেশে বড় রাজনৈতিক ভূমিকম্প আসতে চলেছে। এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ধ্বংস হয়ে যাবে। ওদের নেতা কর্মীরাও হাঁপিয়ে গিয়েছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, আর দল কোথায় যাচ্ছে, ওদের কর্মীরা দেখতে দেখতে হাঁপিয়ে গিয়েছে।
Modi: '২০২৪ এ আরও বড় জয় পেতে চলেছে বিজেপি', মথুরাপুরে আত্মবিশ্বাসী মোদী - Bengali News |
শংসাপত্র ইস্যুতে মোদীর নিশানায় তৃণমূল
তৃণমূলের একটাই এজেন্ডা। ওদের সব কিছুতে কাটমানি চাই। তৃণমূল সাধু সন্ন্যাসীদেরও ছাড়ছে না। তৃণমূল ইস্কন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মতো সংস্থাকেও গালি দিচ্ছে। রামমন্দির আমাদের কাছে আস্থার কেন্দ্র। তৃণমূল পার্টির লোক রামমন্দিরকে অপবিত্র বলে ছে। এইভাবে তৃণমূল বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারছে না। তৃণমূল তুষ্টিকরণের জন্য দেশের সংবিধানেও হামলা করেছ। আমাদের সংবিধান দেশের দলিত, পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য সংরক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের শাসনকালে সেই সংরক্ষণেও লুঠ হচ্ছে। মুসলমানদের OBC সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের অধিকার ছিনিয়ে মুসলিমদের OBC সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্ট এই শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছে। তৃণমূল এই নির্দেশ অমান্য করতে পারে না। ভুল রটাচ্ছে। একবার ভেবে দেখুন তুষ্টিকরণের জন্য এরা কোন সীমায় পৌঁছাতে পারে। ১ জুন আপনার ভোট এই মারাত্মক চিন্তাভাবনাকে আটকাবে। আমরা নতুন যাত্রা শুরু করব।
মোদী বলেছেন তৃণমূলের এখন একটাই হাতিয়ার ‘এটা হতে দেব না’
তৃণমূলের কাছে এখন একটাই হাতিয়ার বেচে রয়েছে। ওদের এখন একটাই হাতিয়ার, ‘এটা হতে দেব না।’ আমরা মহিলাদের সুরক্ষার জন্য হেল্পলাইন বানিয়েছিলাম। তৃণমূল বলল, এটা হতে দেব না। আমরা দেশের সব মহিলাকে উজালা সিলিন্ডার দিচ্ছি। বাংলার এই তৃণমূল সরকারের জন্য লক্ষ্য লক্ষ্য আবেদন ঝুলে রয়েছেন। তৃণমূল সরকার বলছে, এটা হতে দেব না। মোদী প্রত্যেক গরিবকে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছে। ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষের চিকিৎসা বিনা পয়সায় হবে। কিন্তু তৃণমূল বাংলায় আয়ুস্মান যোজনা করতে দিচ্ছে না। বলছে, এটা হতে দেব না। তৃণমূলের জন্য এখানকার মৎস্যজীবীদের বড় লোকসান হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার মৎস্যজীবীদের জন্য এত যোজনা চালাচ্ছে, ফিশারম্যানদের কিষান ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ২০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড দিয়েছে, কিন্তু তৃণমূল বলছে, এটা হতে দেব না। তৃণমূল বাংলায় ফিশিংয়ের আইন জারি হতে দিচ্ছে না। বিমা মিলছে না ওদের।
বিকশিত বাংলা গড়তে পুরো ক্ষমতা লাগিয়ে দেব, বললেন মোদী
৪ কোটি গরিবকে পাকা ঘর বানিয়ে দিয়েছি। ১২ কোটি বাড়িতে জল, সব গ্রামে বিদ্যুৎ। ভারত এখন বিকশিত ভারতের পথে। আগামী পাঁচ বছরে সোনার ভারত গড়ার ক্ষেত্রে নির্ণায়ক শক্তি হতে হবে। বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত বাংলার নির্মাণ জরুরি। এটা তখনই সম্ভব, আপনারা এমন সাংসদ নির্বাচন করবেন, যিনি দেশের কাজ করবেন। আমাকে বেশি করে বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত করে দিল্লিতে পাঠান, আমি ভরসা দিচ্ছি, বিকশিত বাংলা হবেই। আমার সমস্ত ক্ষমতা লাগিয়ে দেব।
পরিবারতন্ত্র রাজনীতিকে কটাক্ষ মোদীর
আপনারা দশ বছরের বিকাশ যাত্রা দেখেছেন। দেশের কোটি গরিব জীবনের ন্যূনতম সুবিধা পেতেন না। না খেয়ে মৃত্যু হত। কোটি মানুষের মাথায় ছাদ ছিল না, মহিলাদের জন্য শৌচালয় ছিল না। সব থেকে বড় দুর্ভাগ্য ছিল, এই সমস্যা মেটানোর জন্য চেষ্টাও হত না। পরিবারতন্ত্র রাজনীতি মানুষকে শেষ করে দিয়েছে। যে দেশের স্বাধীনতা আমাদের সঙ্গে হয়েছিল, তারা আজ কোথায় পৌঁছে গিয়েছে? আমাদের কাছে এত যুব শক্তির সম্পদ রয়েছে, কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়ছিলাম। ভারত এখন এগিয়ে চলেছে। গোটা বিশ্ব দেখছে। গোটা বিশ্বে ভারতের ডঙ্কা বাজছে।
‘জনতাই বলছে, বিজেপির জয় এবার কতটা জোরদার হতে চলেছে’
আপনাদের এই উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছে, বিজেপির জয় কতটা শক্তিশালী হতে চলেছে। আমাকে বলা হয়েছে, পরশু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। মঞ্চ বানানোর সমস্যা ছিল। শেষ মুহূর্তে আপনারা খোলা আকাশের নীচে জড়ো হয়েছেন। এত কম সময়ে, এত বড় সভার আয়োজন মুখের কথা নয়। আপনাদের ধন্যবাদ। কাল সন্ধ্যায় কলকাতার মানুষ রোড শোতে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তা মাথায় তুলে রাখব। আমি সেই দৃশ্য কখনও ভুলব না। চব্বিশের এই নির্বাচনে বাংলায় এটাই আমার শেষ সভা। এরপর ওড়িশা চলে যাব। কাল পঞ্জাবে থাকব। কালকের মধ্যে প্রচার শেষ।
0 মন্তব্যসমূহ
please do not send any spam link in the comment box